June 30, 2024, 12:26 pm

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

তানোরের চিনাশো মাদরাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ

এস আর,সোহেল রানা(রাজশাহী)তানোর,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার চিনাশো সিনিয়র আলিম মাদরাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী মাদরাসার বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে গত ১৭মে মঙ্গলবার ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, মাদরাসায় নিয়মিত পাঠদান হয় না।এছাড়াও মাদরাসার অস্থিত্ব ধরে রাখতে অনেক ভুয়া ছাত্র-ছাত্রী দেখানো হয়েছে। এমনকি আলিম বিভাগে ছাত্রছাত্রী ভর্তি দেখানো হলেও কখানো কোনো ক্লাস নেয়া হয় না। জানা গেছে, বিগত ১৯৬৯ সালে উপজেলার পাঁন্দর ইউনিয়নের (ইউপি)(তৎকালীন) চিনাশো গ্রামে চিনাশো এবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে দাখিল ও ১৯৭৭ সালে আলিম বিভাগের স্বীকৃতি অর্জন করে।মাদরাসার প্রায় ১০ একর ফসলী সম্পত্তি রয়েছে। অথচ মাদরাসার সীমানা প্রাচীর নাই, মানসম্মত একাডেমিক ভবন নাই, নাই কমন রুম, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরী নাই। মাদরাসায় আলিম বিভাগে শিক্ষক রয়েছে ৬ জন, দাখিল বিভাগে ১৯ জন ও কর্মচারী রয়েছে ৬ জন। সৃজনশীল বোঝে এবং প্রশ্ন করতে পারে এমন শিক্ষক এখানে নাই। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা পরীক্ষার প্রশ্ন নিজেরা প্রণয়ন করতে পারেন না। শিক্ষক সমিতি বা বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেয়া হয়।
আবার অনেক সময় গাইড বই দেখে প্রশ্ন তৈরি করা হয়। অথচ গাইড ও নোটবইয়ের দাপট কমাতে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। একাধিক অভিভাবক বলেন, মাদরাসার বিশাল সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব অধ্যক্ষ দেন না। এছাড়াও নৈতিক শিক্ষার নামে জেহাদি বই-পুস্তক পড়ানো হয় এবং শিক্ষক-কর্মচারী সবাই সরাসরি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় রয়েছে। গত ১৮মে বুধবার সরেজমিন মাদরাসায় দেখা গেছে, আলিম বিভাগে কোনো ছাত্রছাত্রী নাই, দাখিল বিভাগে মাত্র ৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, মাদরাসার মাঠে ধান শুকানো হচ্ছে,
আর শিক্ষকরা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন।স্থানীয় অভিভাবকগণ সরেজমিন তদন্ত করে মাদরাসার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন অর রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। এবিষয়ে সহকারী অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আফসার আলী বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে ছোট-খাটো ক্রটিবিচ্যুতি থাকবে এটা স্বাভাবিক। এবিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মন্টু বলেন, আগে কি হয়েছে বলতে পারবেন না,তবে তার সময়ে কোনো অনিযম বা দুর্নীতি হয়নি।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর